নব্বই দশকে অর্থাৎ ১৯৯৭-১৯৯৯ এই তিন বছরে পপি অভিনীত সর্বমোট ২৫টি ছবি মুক্তি পায়। মুক্তির ক্রমানুসারে ছবিগুলোর ক্ল্যাসিফিকেশন নীচে দেয়া হলো –
**সুপার হিট – ৫টি**
১- কুলি (১৯৯৭)
২- আমার ঘর আমার বেহেশত (১৯৯৭)
৩- এই মন তোমাকে দিলাম (১৯৯৮)
৪- মা যখন বিচারক (১৯৯৮)
৫- জিদ্দি (১৯৯৯)
**হিট – ৫টি**
*১- *দরদী সন্তান (১৯৯৭)
২- চারিদিকে শত্রু (১৯৯৭)
৩- ভালবাসার ঘর (১৯৯৮)
৪- কে আমার বাবা (১৯৯৯)
৫- লাল বাদশা (১৯৯৯)
**এভারেজ – ৮টি**
১- জীবন মানেই যুদ্ধ (১৯৯৭)
২- অগ্নিস্বাক্ষী (১৯৯৮)
৩- গুপ্ত ঘাতক (১৯৯৮)
৪- মিলন মালার প্রেম (১৯৯৮)
৫- রবি মাস্তান (১৯৯৯)
৬- জোর (১৯৯৯)
৭- দুজন দুজনার (১৯৯৯)
৮- মাস্তানের দাপট (১৯৯৯)
**ফ্লপ – ৭টি**
১- অনেক দিনের আশা (১৯৯৮)
২- পাহারাদার (১৯৯৯)
৩- অবুঝ মনের ভালোবাসা (১৯৯৯)
৪। প্রাণের প্রিয়তমা (১৯৯৯)
৫। মানুষ মানুষের জন্য (১৯৯৯)
৬- মনের মিলন (১৯৯৯)
৭- রাগী (১৯৯৯)
পপির ক্যারিয়ারের শুরুর দুই বছর বেশ ভালো গেছে। ১৯৯৭ সালে সিনেমায় এসেই সে কুলি এবং আমার ঘর আমার বেহেস্তের মতো দুইটি বড় হিট দিয়ে শাবনূর, মৌসুমীর শক্ত প্রতিদ্বন্দী হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালের মন্দার বাজারেও তার ছবি মোটামুটি ভালো গেছে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তার সর্বাধিক ছবি মুক্তি পাওয়ায় বেশীর ভাগই হয় ফ্লপ বা এভারেজ। এই বছরটাই পপির ভাগ্যের চাকা উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেয়। শাকিলের সাথে তার একের পর এক ছবি ফ্লপ যাওয়া, এরপর বছরের শেষ দিকে দুজনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ মিলে ১৯৯৯ সালের পর পপি চরম ইমেজ সংকটে পড়ে। যদিও ২০০০ সালে বক্স অফিসে আবার সাফল্য পায়। তবে সেই সফলতা তার ইমেজকে আরো কলুষিত করে। হীরা চুনি পান্না, খাইছি তোরে, নয়া কসাইয়ের মতো ছবি করে পপি তার ইমেজের ১২টা বাজায়। এরপর পপি অনেক চেষ্টা করেছে ইমেজ ফিরে পাওয়ার। কিন্তু আর পায়নি। তারপরও প্রথম দুই, আড়াই বছরের মধ্যে ৫টি সুপার হিট ছবির মালিক হয়েছে পপি- যা তাকে ঐ সময় ব্যাপক আলোচিত করে। এছাড়া প্রথম ৩ বছরে তার ব্যবসাসফল ছবি ১০টি। তার এভারেজ ছবিগুলোও মোটামুটি ভালো চলেছে। ফ্লপ ছবিগুলোও একেবারে বিশ্রী রকম ফ্লপ না। তাই নব্বই দশকে পপিকে বেশ সফল নায়িকাই বলাই যায়। এ সময়ে পপির সাফল্যের হার ছিলো ৪০% আর পুঁজি ফেরত পেয়েছে প্রায় ৭০% ছবি।
Leave a Reply